বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট

বাংলাদেশ ব্যাংক

প্রধান কার্যালয়

ঢাকা

www.bfiu.org.bd

বিএফআইইউ সার্কুলার নং-২৭

তারিখ: ০৫ বৈশাখ ১৪২৯ ১৮ এপ্রিল ২০২২ খ্রিস্টাব্দ

ব্যবস্থাপনা পরিচালক/প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা বাংলাদেশে কার্যরত

মানিলন্ডারিং ও সন্ত্রাসী কার্যে অর্থায়ন প্রতিরোধে বীমা প্রতিষ্ঠানসমূহের জন্য অনুসরণীয় নির্দেশনা জারীকরণ প্রসঙ্গে।

মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০১২ ৩ সন্ত্রাস বিরোধী আইন, ২০০৯ এবং আইন দুটির আওতায় জারিকৃত বিধিমালার সংশ্লিষ্ট বিধানাবলি পরিপালনে বাংলাদেশে কার্যরত সকল বীমা প্রতিষ্ঠানের জন্য অনুসরণীয় নিম্নবর্ণিত নির্দেশনাসমূহ মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০১২ এর ২৩(১) (গ) এবং সন্ত্রাস বিরোধী আইন, ২০০৯ এর ১৫(১)(গ) ধারায় প্রদত্ত ক্ষমতা বলে জারি করা

পরিপালন কাঠামো ।

১.১ মানিলন্ডারিং ও সন্ত্রাসী কার্যে অর্থায়ন প্রতিরোধ নীতিমালা

মানিলন্ডারিং ও সন্ত্রাসী কার্যে অর্থায়ন প্রতিরোধে আন্তর্জাতিক মানদন্ড, দেশে বিদ্যমান আইন, বিধিমালা ও বাংলাদেশ

ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ)-এর নির্দেশনাবলির আলোকে প্রতিটি বীমা প্রতিষ্ঠানের নিজ নীতিমালা থাকবে, যা তাদের পরিচালনা পর্ষদ বা প্রযোজ্য ক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠানের সর্বোচ্চ নীতি নির্ধারণী/ব্যবস্থাপনা কমিটি অনুমোদন করবে। বীমা প্রতিষ্ঠান উক্ত নীতিমালা সংশ্লিষ্ট সকলের অবগতিতে আনবে এবং বাস্তবায়নের জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করবে। ধীমা প্রতিষ্ঠান ঝুঁকি / পারলতার নিরিখে সময়ে সময়ে নীতিমালাটি পর্যালোচনা করবে, প্রযোজ্য ক্ষেত্রে সংশোধন/পরিমার্জন করবে এবং সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাগণকে হালনাগাদ নীতিমালা সম্পর্কে অবহিত করবে।

১. মানিলন্ডারিং ও সন্ত্রাসী কার্যে অর্থায়ন প্রতিরোধে ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষের অঙ্গীকার ঘোষণা (১) প্রতিটি বীমা প্রতিষ্ঠানের পরিচালনা পর্ষদ, সর্বোচ্চ নির্বাহী ও অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ মানিলন্ডারিং ও সন্ত্রাসী কার্যে অর্থায়নে প্রতিরোধে উপযুক্ত আইন, বিধিমালা ও আলোচ্য সার্কুলারে বর্ণিত তাদের নিজ নিজ দায়িত্ব ও কর্তব্যের আলোকে প্রাতিষ্ঠানিক পরিপালন ব্যবস্থা নিশ্চিত করবেন।

(২) বীমা প্রতিষ্ঠানের প্রধান নির্বাহী বার্ষিক ভিত্তিতে প্রতিষ্ঠানের সকল কর্মকর্তা/কর্মচারী/এজেন্ট এর উদ্দেশ্যে মানিলন্ডারিং

সন্নাসী কার্যে অর্থায়ন প্রতিরোধে সুস্পষ্ট ও কার্যকর অঙ্গীকার ঘোষণা করবেন। উক্ত অঙ্গীকার বাস্তবায়নে যথাযথ

নির্দেশনা প্রদানসহ প্রযোজ্য ক্ষেত্রে, পরিপালনীয় বিষয়াদির সার্বিক অবস্থা পর্যবেক্ষণ করবেন। ১.৩ কেন্দ্রীয় পরিপালন ইউনিট (Central Compliance Unit) (১) বীমা খাতকে মানিলন্ডারিং ও সন্ত্রাসী কার্যে অর্থায়ন ঝুঁকি হতে মুক্ত রাখার জন্য এত বিদ্যমান আইন,

বিধিমালা ও বিএফআইইউ কর্তৃক সময় সময় জারীকৃত সার্কুলার ও গাইডলাইন্স-এ বর্ণিত নির্দেশনাবলি যথাযথভাবে

পরিপালনার্থে, (ক) প্রতিটি বীমা প্রতিষ্ঠান একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার নেতৃত্বে প্রধান কার্যালয়ে একটি "কেন্দ্রীয় পরিপালন 'ইউনিট' (Central Compliance Unit) প্রতিষ্ঠা করবে যা সরাসরি প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক বা প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার তত্ত্বাবধানে থাকবে। উল্লিখিত 'ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা" প্রধান মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ পরিপালন কর্মকর্তা (Chief Anti-Money Laundering. Compliance Officer-CAMLCO) নামে অভিহিত হবেন। এক্ষেত্রে প্রধান মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ পরিপালন কর্মকর্তার পদবি নামা প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক

বা প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার পরবর্তী ০২ (দুই) ধাপের নিচে হবে না। তবে বিদেশি বীমা প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ নীতি নির্ধারণী বা ব্যবস্থাপনা কমিটির (Management Committee) একজন সদস্য CAMLCO হিসেবে মনোনীত হবেন। প্রধান মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ পরিপালন কর্মকর্তার অবলিখনের অভিজ্ঞতা থাকতে হবে। প্রধান মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ পরিপালন কর্মকর্তা পরিবর্তন হলে অবিলম্বে বিএফআইইউ এর ওয়েবসাইটে Compliance Officer Portal এর মাধ্যমে এ সংক্রান্ত তথ্যাদি হালনাগাদ করতে হবে। প্রধান মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ পরিপালন কর্মকর্তাকে প্রতিষ্ঠানের অন্য কোনো দায়িত্ব অর্পণের পূর্বে ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষকে নিশ্চিত হতে হবে যে এর ফলে প্রতিষ্ঠানটির মানিলন্ডারিং ও সন্ত্রাসী কার্যে অর্থায়ন প্রতিরোধ বিষয়ক কার্যক্রম বিঘ্নিত হবে না। প্রতিটি বীমা প্রতিষ্ঠান নিজ প্রতিষ্ঠানের আকার, ব্যবসায়ের ব্যাপ্তি, কার্যক্রম, গ্রাহকের সংখ্যা ইত্যাদি বিবেচনাপূর্বক কেন্দ্রীয় পরিপালন ইউনিট-এ উপযুক্ত সংখ্যক কর্মকর্তা-কর্মচারী নিয়োগ করবে।

(খ) কেন্দ্রীয় পরিপালন ইউনিট মানিলন্ডারিং ও সন্ত্রাসী কার্যে অর্থায়ন সংক্রান্ত ঝুঁকি প্রতিরোধে বীমা প্রতিষ্ঠানের নিজস্ব নীতিমালার আওতায় প্রাতিষ্ঠানিক কৌশল ও কর্মসূচি নির্ধারণ করবে ও তার বাস্তবায়ন নিশ্চিত করবে।

(গ) প্রধান মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ পরিপালন কর্মকর্তা ও কেন্দ্রীয় পরিপালন ইউনিটের সদস্যদের অবলিখনের অভিজ্ঞতা, মানিলন্ডারিং ও সন্ত্রাসী কার্যে অর্থায়ন প্রতিরোধ বিষয়ে বিদ্যমান আইন, বিধিমালা, বিএফআইইউ কর্তৃক সময় সময়

জারীকৃত নির্দেশনাবলি ও এতদবিষয়ে আন্তর্জাতিক মানদন্ড সম্পর্কে সম্যক ধারণা ও প্রশিক্ষণ থাকতে হবে। (ঘ) প্রধান মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ পরিপালন কর্মকর্তা ও কেন্দ্রীয় পরিপালন ইউনিটের সদস্যদের দায়িত্ব ও কর্তব্য

সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তার মনোনয়নপত্রে সুনির্দিষ্টভাবে উল্লেখ থাকতে হবে।

(২) কেন্দ্রীয় পরিপালন ইউনিট মানিলন্ডারিং ও সন্ত্রাসী কার্যে অর্থায়ন প্রতিরোধ বিষয়ে বীমা প্রতিষ্ঠানের গৃহীত পদক্ষেপ, এ বিষয়ে বাস্তবায়ন অগ্রগতি ও সুপারিশ সম্বলিত প্রতিবেদন বার্ষিক ভিত্তিতে (জানুয়ারি-ডিসেম্বর) প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক/প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা, প্রযোজ্য ক্ষেত্রে পরিচালনা পর্ষদের অবগতি ও নির্দেশনার জন্য দাখিল করবে। উক্ত প্রতিবেদনে আলোচ্য সার্কুলারের ৭.৩ (১) এ বর্ণিত বিষয়সমূহসহ মানিলন্ডারিং ও সন্ত্রাসী কার্যে অর্থায়ন প্রতিরোধ বিষয়ে বিএফআইইউ কর্তৃক কোনো ব্যবস্থা গৃহীত হয়ে থাকলে তা অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার নির্দেশনা ও মতামতসহ প্রতিবেদনটি প্রতিষ্ঠানের পরিচালনা পর্ষদ বা সর্বোচ্চ ব্যবস্থাপনা কমিটির সভায়

উপস্থাপন করতে হবে এবং প্রতিবেদনটির একটি কপি বার্ষিক ভিত্তিতে ফেব্রুয়ারি মাসের মধ্যে বিএফআইইউ বরাবর

প্রেরণ করতে হবে।

(৩) কেন্দ্রীয় পরিপালন ইউনিট বীমা প্রতিষ্ঠানের শাখা, এজেন্সি, ইউনিট, অবলিখক, দাবী পরিশোধ এজেন্ট বা কমিশন

এজেন্ট এর জন্য অনুসরণীয় নির্দেশনাবলি জারি করবে, যাতে মানিলন্ডারিং ও সন্ত্রাসী কার্যে অর্থায়ন প্রতিরোধে গ্রাহক

পরিচিতি গ্রহণ, লেনদেন পরিবীক্ষণ, অভ্যন্তরীণ নিয়ন্ত্রণ এবং এতদসংক্রান্ত অন্যান্য পরিপালনীয় নীতি ও পদ্ধতিসমূহ অন্তর্ভুক্ত থাকবে।

শাখা, এজেন্ট বা ইউনিট মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ পরিপালন কর্মকর্তা (১) মানিলন্ডারিং ও সন্ত্রাসী কার্যে অর্থায়ন প্রতিরোধে বিদ্যমান আইন, বিধিমালা, বিএফআইইউ এর নির্দেশনাবলি এবং

বীমা প্রতিষ্ঠানের নিজস্ব নীতিমালা বাস্তবায়নের জন্য প্রতিষ্ঠানের প্রতিটি শাখা, এজেন্ট বা ইউনিট-এ একজন ঊর্ধ্বতন ও অভিজ্ঞ কর্মকর্তাকে শাখা, এজেন্ট বা ইউনিট মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ পরিপালন কর্মকর্তা (Branch, Agent বা Unit Anti-Money Laundering Compliance Officer- BAMLCO, AAMLCO UAMLCO) মনোনীত করবে। উক্ত শাখা, এজেন্ট বা ইউনিট মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ পরিপালন কর্মকর্তার ন্যূনতম ৩ (তিন) বছরের কাজের অভিজ্ঞতা এবং মানিলন্ডারিং ও সন্ত্রাসী কার্যে অর্থায়ন প্রতিরোধ বিষয়ে বিদ্যমান আইন, বিধিমালা, বিএফআইইউ এর সকল নির্দেশনা এবং প্রতিষ্ঠানের নিজস্ব নীতিমালার বিষয়ে সম্যক ধারণা থাকতে হবে। শাখা, এজেন্ট বা ইউনিট মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ পরিপালন কর্মকর্তার মনোনয়নপত্রে তার কর্মপরিধি এবং দায়-দায়িত্ব

সুনির্দিষ্টভাবে উল্লেখ থাকতে হবে। (২) শাখা, এজেন্সি বা ইউনিট মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ পরিপালন কর্মকর্তা অন্যান্য সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের নিয়ে যা্যাসিক ভিত্তিতে মানিলন্ডারিং ও সন্ত্রাসী কার্যে অর্থায়ন প্রতিরোধ বিষয়ক সভা করবেন এবং উক্ত সভায় নিম্নোক্ত বিষয়সমূহসহ মানিলন্ডারিং ও সন্ত্রাসী কার্যে অর্থায়ন প্রতিরোধে বিদ্যমান আইন, বিধিমালা এবং বিএফআইইউ এর অন্যান্য নির্দেশনার পরিপালন পর্যালোচনাপূর্বক যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন ।

• গ্রাহক পরিচিতি। পলিসি সংক্রান্ত লেনদেন পরিবীক্ষণ (Transaction Monitoring)

সন্দেহজনক লেনদেন বা কার্যক্রম চিহ্নিতকরণ ও রিপোর্টিং; বাংলাদেশে নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠনের তালিকাসহ জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের রেজুলুশনসমূহের

অবলিখন কার্যক্রম;

স্বনির্ধারণী (Self Assessment) সংক্রান্ত কার্য

প্রশিক্ষণ ইত্যাদি। মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ পরিপালন কর্মকর্তা যান্নাসিক সভার কার্যবিবরণী প্রতি ধান্যাসিক সমাপ্তির পরবর্তী মাসের মধ্যে কেন্দ্রীয় পরিপালন ইউনিট বরাবর প্রেরণ করবেন।

२। গ্রাহক নির্বাচন নীতিমালা

গ্রাহক নির্বাচনের ক্ষেত্রে প্রতিটি বীমা প্রতিষ্ঠানের সুনির্দিষ্ট নীতিমালা থাকতে হবে। যা উক্ত প্রতিষ্ঠানের মানিলন্ডারিং ও সন্ত্রাসী

কার্যে অর্থায়ন প্রতিরোধ সংক্রান্ত মূল নীতিমালার অংশ হতে পারে। উক্ত নীতিমালায় অন্যান্য প্রাসঙ্গিক বিষয়ের সাথে

আবশ্যিকভাবে নিম্নোক্ত বিষয়সমূহ অন্তর্ভূক্ত থাকবে :

(১) বেনামে, ছদ্মনামে কোনো গ্রাহকের পলিসি খোলা যা পরিচালনা করা যাবে না:

(২) জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের বিভিন্ন রেজুলুশনের আওতায় সন্ত্রাস ও সন্ত্রাসী কার্যে অর্থায়নে জড়িত সন্দেহে তালিকাভুক্ত ব্যক্তি বা সত্তা বা সম্পত্তির এবং বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক তালিকাভুক্ত ব্যক্তি বা নিষিদ্ধ ঘোষিত সম্ভার কোনো পলিসি খোলা বা পরিচালনা করা যাবে না।

৩। গ্রাহক, গ্রাহক পরিচিতি, গ্রাহক সম্পর্কিত সতর্কতামূলক ব্যবস্থা ও অন্যান্য

৩.১ গ্রাহকের স

মানিলন্ডারিং ও সন্ত্রাসী কার্যে অর্থায়ন ঝুঁকি ব্যবস্থাপনায় গ্রাহক পরিচিতি ও যাচাই প্রতিবার ক্ষেত্রে বীমা প্রতিষ্ঠানের গ্রাহক

বলতে নিম্নোক্ত ব্যক্তি বা সত্তাকে বুঝাবে

(১) বীমা প্রতিষ্ঠানের সাথে কোনোরূপ পলিসি সংরক্ষণ করে বা বীমা প্রতিষ্ঠানের সাথে কোনোরূপ পলিসি সম্পর্কিত সম্পর্ক

রয়েছে এমন যে কোনো ব্যক্তি বা সত্তাঃ (২) পলিসি এর প্রকৃত সুবিধাভোগী (Beneficial Owner) বা তৃতীয় কোনো ব্যক্তি বা সত্তা যার পক্ষে পলিসি

পরিচালিত হয়:

(৩) বিদ্যমান আইনী কাঠামোর আওতায় কোনো পলিসি গ্রহণকারা, ট্রাস্ট বা লেনদেনের প্রকৃত সুবিধাভোগীর পলিসি

পরিচালনার জন্য নিযুক্ত কোনো পেশাদার মধ্যস্থতাকারী (এজেন্ট, ব্রোকার, আইনজীবী, আইন পরামর্শক প্রতিষ্ঠান, চাটার্ড এ্যাকাউন্টেন্ট ইত্যাদি) এবং

(৪) বিএফআইইউ কর্তৃক সময় সময় সংজ্ঞায়িত ব্যক্তি বা সত্তা।

৩.২ গ্রাহক পরিচিতি (Know Your Customer-KYC) মানিলন্ডারিং ও সন্ত্রাসী কার্যে অর্থায়ন ঝুঁকি ব্যবস্থাপনায় পলিসি গ্রহণকারীর পরিচিতি গ্রহণ ও যাচাই প্রক্রিয়ার ক্ষেত্রে

:

নিম্নোক্ত বিষয়াবলির পরিপালন নিশ্চিত করতে হবে :

* জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের বিভিন্ন বেদপ্রশনের আওতার তালিকাভুক্ত ব্যক্তি বা তা বলতে সন্ত্রাস বিরোধী বিবিসিতে সংজ্ঞায়িত তোজুলুশনের আতাকায় জাতি সত্তাকে ভাবে এই তালিকাসমূহ https://www.un.org/securitycouncil/sanctions/information https://www.bb.org.bd/bfm/sanction_list.php কি এতো করা যাবে।

* বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক তালিকাভুক্ত কোনো ব্যক্তি বা নিবি যোনির বলতে লাল বিদ্রোহী আইন, ২০০৯ এর ১৮ নম্বর ধরার দক্ষতা বলে বাংলাদেশ কম কোনো ব্যক্তি

উপকারী মালিক বলতে বোঝায় স্বাভাবিক ব্যক্তি(গুলি) যিনি শেষ পর্যন্ত একজন গ্রাহক এবং/অথবা প্রাকৃতিক ব্যক্তির মালিক বা নিয়ন্ত্রণ করেন

যার পক্ষ থেকে একটি লেনদেন পরিচালিত হচ্ছে। এটি সেই ব্যক্তিদেরও অন্তর্ভুক্ত করে যারা চূড়ান্ত কার্যকর নিয়ন্ত্রণ অনুশীলন করে

একটি আইনি ব্যক্তি বা ব্যবস্থা উপর. "চূড়ান্তভাবে মালিক বা নিয়ন্ত্রণ" এবং "চূড়ান্ত কার্যকর নিয়ন্ত্রণ" এর রেফারেন্স উল্লেখ করে

এমন পরিস্থিতিতে যেখানে মালিকানা/নিয়ন্ত্রণ ব্যবহার করা হয় মালিকানার শৃঙ্খলের মাধ্যমে বা ব্যতীত অন্য নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে

সরাসরি নিয়ন্ত্রণ. দ্রষ্টব্য: সেটলার, ট্রাস্টি, রক্ষক বা অনুরূপ মর্যাদাসম্পন্ন যেকোন ব্যক্তির সিডিডি পরিচালনা করা প্রয়োজন বা যেকোন সুবিধাভোগী বা সুবিধাভোগীর শ্রেণি যাদের ট্রাস্টের উপর কার্যকর নিয়ন্ত্রণ রয়েছে, একটির সুবিধাজনক মালিকানা সনাক্তকরণের ক্ষেত্রে

আইনি ব্যবস্থা।


(১) গ্রাহকের পরিচিতির পূর্ণাঙ্গ ও সঠিক তথ্য সংগ্রহ করতে হবে। বীমা খাত যাতে মানিলন্ডারিং বা সন্ত্রাসী কার্যে অর্থায়ন ঝুঁকির সম্মুখীন না হয় তা নিশ্চিত করার জন্য প্রতিটি বীমা প্রতিষ্ঠানকে গ্রাহক কর্তৃক পলিসি খোলার উদ্দেশ্য সম্পর্কে

সম্যক ধারণা এবং Uniform KYC Profile Form (পরিশিষ্ট-ক) এ নির্দেশিত পরিচিতিমূলক তথ্য বা উপাত্ত সংগ্রহ ও উহার সঠিকতা যাচাই করতে হবে।

(২) গ্রাহকের পরিচিতির পূর্ণাঙ্গ ও সঠিক তথ্য গ্রহণ বা সংরক্ষণের ক্ষেত্রে সুবিধাজনক বিবেচনায় বিএফআইইউ সার্কুলার নং- ২৫ এর মাধ্যমে জারীকৃত Guidelines on Electronic Know Your Customer (e- KYC) এ বর্ণিত

আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার বা সহায়তা গ্রহণ করতে হবে। যে ক্ষেত্রে ইলেকট্রনিক মাধ্যম ব্যবহার করে পলিসি খোলা

সম্ভব হবে না সে ক্ষেত্রে প্রচলিত পদ্ধতিতে পলিসি খোলার ফরম ব্যবহার করা যাবে।

৩.৩ গ্রাহক সম্পর্কিত সতর্কতামূলক ব্যবস্থা (Customer Due Diligence-CDD) :

গ্রাহক সম্পর্কিত সতর্কতামূলক ব্যবস্থা বা CDD বলতে নির্ভরযোগ্য ও স্বাধীন উৎস হতে প্রাপ্ত সঠিক তথ্য, উপাত্ত ও দলিলাদির ভিত্তিতে গ্রাহকের পরিচিতি নিশ্চিতকরণ এবং অর্থের উৎস যাচাইকরণসহ পলিসির পরিচিতিমূলক তথ্য বা উপাত্ত ও লেনদেন নিয়মিতভাবে পরিবীক্ষণ করাকে বুঝাবে।

(১) সংশ্লিষ্ট গ্রাহকের ঝুঁকি বিবেচনায় নিম্নবর্ণিত বিভিন্ন পর্যায়ে CDD সম্পাদন করতে হবে-

(ক) গ্রাহকের সাথে সম্পর্ক স্থাপনের সময়;

(খ) বিদ্যমান গ্রাহকের সাথে আর্থিক লেনদেন সংঘটনের সময়:

(গ) যখন সন্দেহ করার যথেষ্ট কারণ থাকবে যে ইতোপূর্বে বীমা গ্রাহকের পরিচিতির সপক্ষে যে তথ্য বা দলিলাদি সংগ্রহ

করা হয়েছে তা পর্যাপ্ত নয় বা সঠিক নয়; এবং (ঘ) কোনো লেনদেন মানিলন্ডারিং বা সন্ত্রাসী কার্যে অর্থায়নের সাথে জড়িত মর্মে সন্দেহ হলে।

(২) তবে কোনো লেনদেন মানিলন্ডারিং বা সন্ত্রাসী কার্যে অর্থায়নের সাথে জড়িত মর্মে সন্দেহে CDD সম্পাদনের ক্ষেত্রে তথ্যের গোপনীয়তা ফাঁস (Tipping Off) হবার সম্ভাবনা থাকলে CDD সম্পাদন না করেই পরিশিষ্ট-খ অনুযায়ী

সন্দেহজনক লেনদেন বা কার্যক্রম রিপোর্ট করতে হবে।

(৩) বীমা গ্রাহকের পরিচিতি ও বীমা প্রতিষ্ঠানের সাথে সম্পর্ক স্থাপনের অন্তর্নিহিত উদ্দেশ্য সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়ার জন্য

প্রতিটি বীমা প্রতিষ্ঠান তাদের সন্তুষ্টি সাপেক্ষে পর্যাপ্ত (পূর্ণাঙ্গ ও সঠিক) তথ্য সংগ্রহ করবে।

(৪) যদি গ্রাহকের পক্ষে অন্য কোনো ব্যক্তি পলিসি পরিচালনা করে বা ব্যবসায়িক সম্পর্ক স্থাপন করে সেক্ষেত্রে উক্ত ব্যক্তি

যথাযথভাবে ক্ষমতাপ্রাপ্ত কিনা তা নিশ্চিত হয়ে তার পরিচিতির পূর্ণাঙ্গ ও সঠিক তথ্য সংগ্রহ করতে হবে। (৫) ব্রোকার, ট্রাস্টি ও পেশাদার মধ্যস্থতাকারী কর্তৃক গ্রাহকের পক্ষে পরিচালিত পলিসির ক্ষেত্রে বা ব্যবসায়িক সম্পর্ক স্থাপনের ক্ষেত্রে তাদের আইনগত অবস্থান পর্যালোচনা ও যথার্থতা নিরূপণপূর্বক সংশ্লিষ্ট সকলের পরিচিতির সঠিক ও পূর্ণাঙ্গ তথ্য সংগ্রহ করতে হবে।

(৬) যেসব দেশ মানিলন্ডারিং ও সন্ত্রাসী কার্যে অর্থায়ন প্রতিরোধের আন্তর্জাতিক মান পূরণ করেনি বা তাৎপর্যপূর্ণ ঘাটতি রয়েছে (যেমন : ফাইন্যান্সিয়াল এ্যাকশন টাস্কফোর্সের Jurisdictions under Increased Monitoring এবং High Risk Jurisdictions subject to a Call for Action হিসেবে তালিকাভুক্ত দেশ) সেসব দেশের কোনো ব্যক্তি বা সত্তার (আইনগত প্রতিনিধি, বীমা প্রতিষ্ঠানসহ যে কোনো প্রতিষ্ঠান) সাথে ব্যবসায়িক সম্পর্ক স্থাপন ও বজায় রাখা এবং লেনদেন সম্পাদনের ক্ষেত্রে অধিকতর সতর্কতামূলক Enhanced Due Diligence (৩.৫ নং অনুচ্ছেদ) পদক্ষেপ বা ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে ।

(৭) পলিসির প্রকৃত সুবিধাভোগী (Beneficial Owner) সনাক্তকরণপূর্বক প্রতিষ্ঠানের সন্তুষ্টি সাপেক্ষে নির্ভরযোগ্য সূত্র হতে সংগৃহীত তথ্যের ভিত্তিতে নিম্নোক্ত ক্ষেত্রে পরিচিতি নিশ্চিত করতে হবে :

" পূর্ণাঙ্গ (complete)" বলতে পলিসির আবেদনকারী গ্রাহকের পরিচিতি বাড়াইয়ে প্রয়োজনীয় সকল তথ্যের সন্নিবেশকে বুঝাবে। উদাহরণস্বরূপঃ নাম, পেশা, জন্ম তারিখ ও বিস্তারিত ঠিকানা এবং জাতীয় পরিচয়পত্র, জন্ম নিবন্ধন সনদ, পাসপোর্ট বা গ্রহণযোগ্য পরিচিতিমূলক ছবিযুক্ত আইডি কার্ড, ফোন/মোবাইল নম্বর ইত্যাদিসহ অন্যান্য প্রয়োজনীয় তথ্যাদি। “সঠিক ( Accurate)" বলতে পূর্ণাঙ্গ এরূপ তথ্যকে বুঝাবে যার সঠিকতা যথাযথ কর্তৃপক্ষেরা নিকট হতে যাচাই করা হয়েছে। -বীমা প্রতিষ্ঠানের সম্রষ্টি সাপেক্ষে” বলতে বিদ্যমান নির্দেশনার আলোকে গ্রাহকের ঝুঁকি বিবেচনায় নিয়ে প্রয়োজনীয় তথ্য, উপাত্ত ও দলিলাদি পূর্বক CDD সম্পন্ন করা হয়েছে মর্মে যথাযথ কর্তৃপক্ষকে সন্তুষ্ট করাকে বুঝাবে।

(ক) যদি কোনো পলিসির অর্থের উৎস পলিসি গ্রহণকারী ব্যতীত অন্য কোনো ব্যক্তি হয় সে ক্ষেত্রে পলিসির অর্থ

যোগানদাতার পরিচিতির সঠিক ও পূর্ণাঙ্গ তথ্য সংগ্রহ ও সংরক্ষণ করতে হবে; এবং (খ) অব্যক্তিক সম্পত্তির বীমা পলিসির ক্ষেত্রে বীমা গ্রহীতা প্রতিষ্ঠানের নিয়ন্ত্রণকারী শেয়ার হোল্ডার অথবা ২০% বা

তদূর্ধ্ব একক শেয়ারহোল্ডারকে পলিসির প্রকৃত সুবিধাভোগী বিবেচনায় তার/তাদের পরিচিতির সঠিক ও পূর্ণাঙ্গ তথ্য

সংগ্রহ ও সংরক্ষণ করতে হবে। (৮) সকল ধরনের বীমা পলিসির ক্ষেত্রে প্রকৃত সুবিধাভোগী চিহ্নিত হওয়া মাত্রই বীমা প্রতিষ্ঠানসমূহ CDD করার ক্ষেত্রে

নিম্নোক্ত পদক্ষেপ গ্রহণ করবে : (ক) প্রকৃত সুবিধাভোগী যদি ব্যক্তি, সত্তা বা আইনি ব্যবস্থা হয়ে থাকে তাহলে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি, সত্তা বা আইনি ব্যবস্থার নাম এবং ঠিকানা সংগ্রহ করবে;

(খ) প্রকৃত সুবিধাভোগী যদি অন্য কোনো বৈশিষ্ট্য, শ্রেণি বা মাধ্যমে সংজ্ঞায়িত হয়ে থাকে তবে বীমা প্রতিষ্ঠান সংশ্লিষ্ট প্রকৃত সুবিধাভোগীর পর্যাপ্ত তথ্য এমনভাবে সংগ্রহ করবে যেন বীমা দাবি বা পলিসির অর্থ ফেরত প্রদানের সময়

প্রকৃত সুবিধাভোগীকে চিহ্নিত করা যায়; এবং

(গ) ক এবং খ উভয় ক্ষেত্রেই বীমা দাবি বা পলিসির অর্থ ফেরত প্রদানের সময় প্রকৃত সুবিধাভোগীর পরিচয় যাচাই

করবে।

CDD সম্পাদন করা সম্ভব না হলে বীমা প্রতিষ্ঠানের করণীয় :

0.8 গ্রাহকের অসহযোগিতাপূর্ণ আচরণের কারণে অথবা গ্রাহকের বিষয়ে সংগৃহীত তথ্য/উপাত্ত নির্ভরযোগ্য না হলে অর্থাৎ গ্রাহক পরিচিতির সন্তোষজনক তথ্য প্রাপ্তি এবং তা যাচাই সাপেক্ষে CDD সম্পাদন করা সম্ভব না হলে বীমা

প্রতিষ্ঠানসমূহ নিম্নরূপ ব্যবস্থা গ্রহণ করবে: (১) বীমা প্রতিষ্ঠানসমূহ উত্তরূপ গ্রাহকের পলিসি ইস্যু করবে না বা খুলবে না। প্রয়োজনে বিদ্যমান পলিসি বন্ধ করে

দিবে।

(২) বিদ্যমান এরূপ পলিসি বন্ধ করার ক্ষেত্রে CAMLCO এর অনুমোদন গ্রহণ করতে হবে এবং পলিসি বন্ধ করার

পূর্বে পলিসি বন্ধকরণের কারণ ব্যাখ্যাপূর্বক গ্রাহককে নোটিশ প্রদান করতে হবে; এবং

(৩) ক্ষেত্রমত এরূপ গ্রাহকের বিষয়ে সন্দেহজনক লেনদেন বা কার্যক্রমের রিপোর্ট দাখিল করবে। গ্রাহক সম্পর্কিত অধিকতর সতর্কতামূলক ব্যবস্থা (Enhanced Due Diligence - EDD) ৩.৫

বীমা প্রতিষ্ঠান কর্তৃক নিরূপিত উচ্চ ঝুঁকি সম্পন্ন (High Risk) গ্রাহকের ক্ষেত্রে নিম্নরূপে গ্রাহক সম্পর্কিত অধিকতর সতর্কতামূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে :

(১) নিরপেক্ষ ও নির্ভরযোগ্য উৎস (Independen and reliable sources) থেকে গ্রাহক পরিচিতি সম্পর্কিত

অতিরিক্ত তথ্যাদি সংগ্রহ: (২) পলিসি খোলার উদ্দেশ্য, পলিসির অর্থ বা সম্পদের উৎস নিশ্চিত হওয়ায় জন্য অধিকতর ব্যবস্থা গ্রহণ;

(৩) পলিসি সংক্রান্ত লেনদেন নিবিড়ভাবে পরিবীক্ষণ; এবং (৪) প্রযোজ্য ক্ষেত্রে, বীমা প্রতিষ্ঠানের প্রধান মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ পরিপালন কর্মকর্তার অনুমোদন গ্রহণ।

পলিটিক্যালি এক্সপোজড পার্সন (Politically Exposed Persons / PEPS), প্রভাবশালী ব্যক্তি (Influential Persons/IPs) এবং আন্তর্জাতিক সংস্থার প্রধান বা উচ্চ পর্যায়ের কর্মকর্তার ক্ষেত্রে করণীয় : (১) PEPS এর পলিসি খোলা ও পলিসি পরিচালনার ক্ষেত্রে এ সার্কুলারের (৩.২)-(৩.৪) নম্বর অনুচ্ছেদে বর্ণিত প্রযোজ্য

নির্দেশনা অনুসরণের পাশাপাশি বীমা প্রতিষ্ঠানসমূহকে নিম্নোক্ত ব্যবস্থাদি গ্রহণ করতে হবে :

পলিটিক্যালি এক্সপোজড পার্সন (পিইপি) ব্যক্তি যারা বিদেশী দেশ দ্বারা বিশিষ্ট পাবলিক ফাংশনগুলির উপর অর্পিত বা অর্পিত হয়েছে, উদাহরণস্বরূপ রাষ্ট্র প্রধান বা সরকার প্রধান, সিনিয়র রাজনীতিবিদ, সিনিয়র সরকারী, বিচার বিভাগীয় বা সামরিক কর্মকর্তা, রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন কর্পোরেশনের সিনিয়র এক্সিকিউটিভ, গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক দলের কর্মকর্তারা
সম্পন্ন হলে নিয়মিত তদারকি করবে। উচ্চ ঝুঁকি সম্পন্ন গ্রাহক বা পলিসিসমূহের তালিকা স্ব স্ব শাখায় সংরক্ষণকরত নিয়মিত তদারকি করবে।

(৩) প্রতিটি বীমা প্রতিষ্ঠান নির্দিষ্ট সময় অন্তর অন্তর গ্রাহকের পরিচিতিমূলক তথ্য (KYC) হালনাগাদকরণের ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। নিম্ন ঝুঁকি সম্পন্ন গ্রাহকের ক্ষেত্রে এরূপ প্রক্রিয়া প্রতি পাঁচ বছর অন্তর সম্পন্ন করবে এবং উচ্চ ঝুঁকি সম্পন্ন গ্রাহকের ক্ষেত্রে এরূপ প্রক্রিয়া এক বছর অন্তর সম্পন্ন করবে। তবে গ্রাহকের পরিচিতিমূলক তথ্যের যে কোনো পরিবর্তন অবগত হওয়ার সাথে সাথেই তা হালনাগাদ করবে। এছাড়া নির্দিষ্ট কোনো প্রয়োজন অনুভূত হলে যে কোনো সময়েই গ্রাহকের পরিচিতিমূলক তথ্য হালনাগাদ করবে। হালনাগাদকৃত তথ্যের ভিত্তিতে পুনরায় অবিলম্বে এসব পলিসির ঝুঁকি নিরূপণ করবে।

লেনদেন পরিবীক্ষণ :

লেনদেন পরিবীক্ষণ সন্দেহজনক লেনদেন সনাক্তকরণের একটি গুরুত্বপূর্ণ উপায় বিধায় প্রতিটি বীমা প্রতিষ্ঠান অত্যন্ত

সতর্কতার সাথে গ্রাহকের লেনদেনসমূহ পরিবীক্ষণ করবে। বীমা প্রতিষ্ঠানসমূহ লেনদেন পরিবীক্ষণের ক্ষেত্রে নিম্নোক্ত বিষয়গুলো বিবেচনা করবে:

(১) প্রতিটি গ্রাহকের ব্যবসায়িক সম্পর্ক ও এতদ্‌সংশ্লিষ্ট নিয়মিত লেনদেন (২) সকল জটিল, অস্বাভাবিক এবং আপাত দৃষ্টে যেসকল পলিসির কোনো আর্থিক বা দৃষ্টিগ্রাহ্য বৈধ উদ্দেশ্য নেই মর্মে

নিরূপণ করা যাচ্ছে এবং (৩) জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের সংশ্লিষ্ট রেজুলুশন এবং যেসব দেশ মানিলন্ডারিং ও সন্ত্রাসী কার্যে অর্থায়ন প্রতিরোধের আন্তর্জাতিক মান পূরণ করেনি বা তাৎপর্যপূর্ণ ঘাটতি রয়েছে এ সকল ক্ষেত্রে EDD অবলম্বন ।

সন্দেহজনক লেনদেন রিপোর্ট (Suspicious Transaction Report - STR) =

বিএফআইইউ বরাবরে সন্দেহজনক লেনদেন দাখিল করার ক্ষেত্রে বীমা প্রতিষ্ঠানসমূহ নিম্নোক্ত বিষয়াবলি অনুসরণ করবে :

(১) মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০১২ এর ২৫(১)(ঘ) ধারা ও সন্ত্রাস বিরোধী আইন, ২০০৯ এর ১৬(১) ধারায়

বর্ণিত নির্দেশনা বাস্তবায়নের নিমিত্ত প্রতিটি বীমা প্রতিষ্ঠানের সকল কর্মকর্তা পলিসি সংক্রান্ত লেনদেন বা কার্যক্রমে সন্দেহজনক লেনদেন সনাক্তকরণে সচেতন ও সতর্ক থাকবে: (২) সন্দেহজনক লেনদেন বা কার্যক্রম সনাক্তকরণে বীমা প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তাগণ মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০১২ এর ২(য) ধারা ও সন্ত্রাস বিরোধী আইন, ২০০৯ এর ২(১৬) ধারায় বর্ণিত সংজ্ঞা বিবেচনা করবে:

(৩) বীমা প্রতিষ্ঠানের প্রধান কার্যালয়, শাখা, এজেন্সি বা ইউনিট এর কোনো কর্মকর্তা কর্তৃক সন্দেহজনক লেনদেন বা কার্যক্রম চিহ্নিত হওয়ার সাথে সাথে তা সংশ্লিষ্ট মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ পরিপালন কর্মকর্তাকে লিখিতভাবে অবহিত করবে। সংশ্লিষ্ট মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ পরিপালন কর্মকর্তা রিপোর্টকৃত লেনদেন বা কার্যক্রম অবিলম্বে যথাযথভাবে বিশ্লেষণ করবেন এবং সন্দেহজনক বিবেচিত হলে পর্যবেক্ষণ ও দলিলাদিসহ কেন্দ্রীয় পরিপালন ইউনিটে প্রেরণ করবে:

(৪) মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০১২ এ উল্লিখিত সম্পৃক্ত অপরাধ ও সন্ত্রাস বিরোধী আইন, ২০০৯ এ উল্লিখিত অন্যান্য অপরাধ সম্পর্কিত কোনো সংবাদ গণমাধ্যমে প্রকাশ হবার সাথে সাথে উক্ত কর্মকান্ডের সাথে জড়িত ব্যক্তি বা সত্তার কোনো পলিসি পরিচালিত হয়ে থাকলে এ বিষয়ক বিস্তারিত তথ্য অবিলম্বে বিএফআইইউ বরাবরে প্রেরণ করবে এবং প্রয়োজনবোধে সন্দেহজনক লেনদেন রিপো



(৬) প্রধান কার্যালয়, শাখা, এজেন্সি বা ইউনিট পর্যায়ে কোনো লেনদেন বা কার্যক্রম সন্দেহজনক হিসেবে চিহ্নিত না হলেও প্রধান মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ পরিপালন কর্মকর্তা কর্তৃক প্রধান কার্যালয়, শাখা, এজেন্সি বা ইউনিট এর কোনো লেনদেন বা কার্যক্রম সন্দেহজনক প্রতীয়মান হলে বিএফআইইউ বরাবর সন্দেহজনক লেনদেন রিপোর্ট বা কার্যক্রম দাখিল করবে; এবং

(৭) বীমা প্রতিষ্ঠানসমূহ সন্দেহজনক লেনদেন বা কার্যক্রম রিপোর্ট এর তথ্যাদি বিএফআইইউ কর্তৃক পরবর্তী নির্দেশনা না দেয়া পর্যন্ত সংরক্ষণ করবে।

৭। স্বনির্ধারণী * মূল্যায়ন কার্যক্রম : মানিলন্ডারিং ও সন্ত্রাসী কার্যে অর্থায়ন প্রতিরোধে একটি কার্যকরী ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে বীমা প্রতিষ্ঠানের অভ্যন্তরীণ নিরীক্ষা বিভাগ বা শাখা নিয়ন্ত্রণ বিভাগের মাধ্যমে শাখা, এজেন্সি বা ইউনিট হতে প্রাপ্ত স্বনির্ধারণী প্রতিবেদন বিশ্লেষণ ও নিরীক্ষা কার্যক্রম যথাযথভাবে সম্পন্ন করার জন্য সংশ্লিষ্ট বিভাগে পর্যাপ্ত লোকবল নিশ্চিত করতে হবে যাদের এ সংক্রান্ত বিদ্যমান আইন, বিধিমালা, বিএফআইইউ এর নির্দেশনা এবং এ বিষয়ক বীমা প্রতিষ্ঠানের নিজস্ব নীতিমালা সম্পর্কে সম্যক

ধারণা রয়েছে।

শাখা, এজেন্সি বা ইউনিট এর করণীয় :

(১) প্রতিটি শাখা, এজেন্সি বা ইউনিট কর্তৃক স্বনির্ধারণী এর জন্য নির্ধারিত চেকলিস্ট (পরিশিষ্ট 'গ') এর উপর ভিত্তি করে বার্ষিক ভিত্তিতে (জানুয়ারি-ডিসেম্বর) নিজেদের মূল্যায়ন করতে হবে;

(২) আলোচ্য মূল্যায়ন প্রতিবেদন চূড়ান্ত করার পূর্বে শাখা, এজেন্সি বা ইউনিট এর প্রধান/ব্যবস্থাপক এর সভাপতিত্বে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের নিয়ে সভা করবে। উক্ত সভায় মূল্যায়ন প্রতিবেদনের খসড়ার উপর আলোচনা করবে, চিহ্নিত সমস্যা শাখা, এজেন্সি বা ইউনিট পর্যায়ে সমাধান করা সম্ভবপর হলে শাখা, এজেন্সি বা ইউনিট কর্তৃক অবিলম্বে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণপূর্বক চূড়ান্ত করবে এবং চূড়ান্ত প্রতিবেদনে সুপারিশ লিপিবদ্ধ করবে। পরবর্তী মানিলন্ডারিং ও সন্ত্রাসী কার্যে অর্থায়ন প্রতিরোধ বিষয়ক ষান্মাষিক সভাগুলোতে এতদ্‌সংশ্লিষ্ট বিষয়ের অগ্রগতি নিয়ে আলোচনা

করবে;

(৩) জানুয়ারি মাসের ৩১ তারিখের মধ্যে শাখা, এজেন্সি বা ইউনিট মূল্যায়ন সংক্রান্ত প্রতিবেদন, এ বিষয়ে গৃহীত/গ্রহণীয় কার্যক্রম ও সুপারিশ প্রধান কার্যালয়ের কেন্দ্রীয় পরিপালন ইউনিট ও অভ্যন্তরীণ নিরীক্ষা বিভাগ বা শাখা নিয়ন্ত্রণ বিভাগে প্রেরণ করবে।

বিঃ দ্রঃ যে সকল বীমা প্রতিষ্ঠানের প্রধান কার্যালয় বীমা পলিসি খোলাসহ শাখা পর্যায়ের কার্যক্রম পরিচালনা করে সে সকল বীমা প্রতিষ্ঠানের প্রধান কার্যালয় ৭.১ (১-৩) অনুচ্ছেদে উল্লিখিত নির্দেশনা পরিপালন করতে হবে।

অভ্যন্তরীণ নিরীক্ষা বিভাগ বা শাখা নিয়ন্ত্রণ বিভাগের করণীয় :

(১) অভ্যন্তরীণ নিরীক্ষা বিভাগ বা শাখা নিয়ন্ত্রণ বিভাগ কর্তৃক প্রধান কার্যালয়, শাখা, এজেন্সি বা ইউনিটসমূহ হতে প্রাপ্ত

মূল্যায়ন প্রতিবেদন যাচাই করে কোনো ঝুঁকিপূর্ণ বিষয় পরিলক্ষিত হলে তাৎক্ষণিকভাবে সংশ্লিষ্ট প্রধান কার্যালয়, শাখা, এজেন্সি বা ইউনিট পরিদর্শনের ব্যবস্থা করবে এবং বিষয়টি কেন্দ্রীয় পরিপালন ইউনিটকে অবহিত করবে:

(২) অভ্যন্তরীণ নিরীক্ষা বিভাগ বা শাখা নিয়ন্ত্রণ বিভাগ তাদের বার্ষিক পরিদর্শন বা নিরীক্ষা কর্মসূচি অনুসারে প্রধান কার্যালয়, শাখা, এজেন্সি বা ইউনিট এর পরিদর্শন বা নিরীক্ষা কার্যক্রম সম্পাদনকালে সংশ্লিষ্ট প্রধান কার্যালয়, শাখা, এজেন্সি বা ইউনিট এর মানিলন্ডারিং ও সন্ত্রাসী কার্যে অর্থায়ন প্রতিরোধ বিষয়ক সার্বিক অবস্থা মূল্যায়নপূর্বক পরিদর্শন প্রতিবেদনে একটি পৃথক অনুচ্ছেদ সংযোজন করবে:

(৩) অভ্যন্তরীণ নিরীক্ষা বিভাগ বা শাখা নিয়ন্ত্রণ বিভাগ কর্তৃক পরিদর্শিত বা নিরীক্ষিত প্রধান কার্যালয়, শাখা, এজেন্সি

বা ইউনিটসমূহের মানিলন্ডারিং ও সন্ত্রাসী কার্যে অর্থায়ন প্রতিরোধ পরিপালন অবস্থার বিষয়ে পরিদর্শন প্রতিবেদনে সংযোজিত অনুচ্ছেদের কপি বীমা প্রতিষ্ঠানের কেন্দ্রীয় পরিপালন ইউনিট বরাবরে প্রেরণ করবে।

9.0

কেন্দ্রীয় পরিপালন ইউনিটের করণীয় :

(১) কেন্দ্রীয় পরিপালন ইউনিট প্রধান কার্যালয়, শাখা, এজেন্সি বা ইউনিটসমূহ হতে প্রাপ্ত স্বনির্ধারণী প্রতিবেদন এবং বীমা প্রতিষ্ঠানের অভ্যন্তরীণ নিরীক্ষা বিভাগ বা শাখা নিয়ন্ত্রণ বিভাগ কর্তৃক দাখিলকৃত পরিদর্শন বা নিরীক্ষা প্রতিবেদনের উপর ভিত্তি করে পরিদর্শিত প্রধান কার্যালয়, শাখা, এজেন্সি বা ইউনিটসমূহের মূল্যায়ন প্রতিবেদন প্রস্তুত করবে। উক্ত প্রতিবেদনে অন্যান্য বিষয়ের সাথে আবশ্যিকভাবে নিম্নের বিষয়সমূহ অন্তর্ভুক্ত থাকবে :

(ক) মোট শাখা, এজেন্সি বা ইউনিট এর সংখ্যা এবং প্রাপ্ত মোট স্বনির্ধারণী প্রতিবেদনের সংখ্যাঃ

(খ) রিপোর্টকালে অভ্যন্তরীণ নিরীক্ষা বিভাগ বা শাখা নিয়ন্ত্রণ বিভাগ কর্তৃক নিরীক্ষিত প্রধান কার্যালয়, শাখা, এজেন্সি বা ইউনিট এর সংখ্যা এবং প্রধান কার্যালয়, শাখা, এজেন্সি বা ইউনিটসমূহের মানিলন্ডারিং ও সন্ত্রাসী কার্যে অর্থায়ন প্রতিরোধ পরিপালন অবস্থার সারসংক্ষেপ;

(গ) প্রাপ্ত স্বনির্ধারণী প্রতিবেদনে প্রধান কার্যালয়, অধিক সংখ্যক শাখা, এজেন্সি বা ইউনিট-এ একই ধরনের যে সকল অনিয়মের বিষয় উল্লেখ রয়েছে তা উল্লেখপূর্বক ঐ সকল অনিয়ম রোধে কেন্দ্রীয় পরিপালন ইউনিট

কর্তৃক গৃহীত ব্যবস্থা: এবং (ঘ) অভ্যন্তরীণ নিরীক্ষা বিভাগ বা শাখা নিয়ন্ত্রণ বিভাগ কর্তৃক দাখিলকৃত প্রতিবেদনে উল্লিখিত অনিয়মসমূহ এবং ঐ সকল অনিয়ম রোধে কেন্দ্রীয় পরিপালন ইউনিট কর্তৃক গৃহীত ব্যবস্থা।

(২) প্রধান কার্যালয়, শাখা, এজেন্সি বা ইউনিটসমূহ হতে প্রাপ্ত স্বনির্ধারণী প্রতিবেদন যাচাই করে কোনো ঝুঁকিপূর্ণ

বিষয় পরিলক্ষিত হলে তাৎক্ষণিকভাবে প্রধান কার্যালয়, শাখা, এজেন্সি বা ইউনিট-টি অভ্যন্তরীণ নিরীক্ষা বিভাগের

মাধ্যমে পরিদর্শনের ব্যবস্থা করবে এবং বিষয়টি উপযুক্ত কর্তৃপক্ষের নজরে আনবে।

সন্ত্রাসী কার্যে অর্থায়ন ও ব্যাপক ধ্বংসাত্মক অস্ত্রের বিস্তারে অর্থায়ন প্রতিরোধ :

জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের সন্ত্রাসী কার্যে অর্থায়ন ও ব্যাপক ধ্বংসাত্মক অস্ত্র বিস্তারে অর্থায়ন সংক্রান্ত

রেজুলুশনসমূহের বাস্তবায়নের জন্য বীমা প্রতিষ্ঠানসমূহ নিম্নোক্ত পদক্ষেপ গ্রহণ করবে :

(১) প্রতিটি বীমা প্রতিষ্ঠান পরিচালনা পর্ষদের অনুমোদনক্রমে সন্ত্রাসী কার্যে অর্থায়ন ও ব্যাপক ধ্বংসাত্মক অস্ত্র বিস্তারে অর্থায়ন সংক্রান্ত লেনদেন প্রতিরোধ ও সনাক্ত করার লক্ষ্যে একটি পদ্ধতি প্রতিষ্ঠা করবে, প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তাদের দায়-দায়িত্ব সম্পর্কিত নির্দেশনা জারি করবে, সময় সময় তা পর্যালোচনা করবে এবং বিএফআইইউ কর্তৃক জারীকৃত নির্দেশনা যথাযথভাবে পরিপালন করা হচ্ছে কিনা তা নিশ্চিত করবে;

(২) প্রতিটি বীমা প্রতিষ্ঠান জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের বিভিন্ন রেজুলুশনের আওতায় সন্ত্রাস, সন্ত্রাসী কার্যে অর্থায়ন ও ব্যাপক ধ্বংসাত্মক অস্ত্র বিস্তারে অর্থায়নে জড়িত সন্দেহে তালিকাভুক্ত কোনো ব্যক্তি বা সত্তা এবং বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক তালিকাভুক্ত কোনো ব্যক্তি বা নিষিদ্ধ ঘোষিত সত্তার হালনাগাদ তথ্য সংরক্ষণ করবে। জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের বিভিন্ন রেজুলুশনের আওতায় তালিকাভুক্ত ব্যক্তি বা সত্তা এবং বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক তালিকাভুক্ত কোনো ব্যক্তি বা নিষিদ্ধ ঘোষিত সত্তার সংজ্ঞা এ সার্কুলারের ২(২) অনুচ্ছেদে প্রদান করা হয়েছে;

(৩) প্রতিটি বীমা প্রতিষ্ঠান জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের কোনো রেজুলুশনের আওতায় বা বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক তালিকাভুক্ত বা নিষিদ্ধ ঘোষিত কোনো ব্যক্তি বা সত্তার নামে অথবা প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে তাদের নিয়ন্ত্রণাধীন অথবা কোনো সহযোগী ব্যক্তি বা সত্তার নামে পলিসি রয়েছে কিনা বা কোনো লেনদেন সংঘটিত হয়েছে কিনা তা চিহ্নিত করার জন্য নিয়মিত লেনদেন মনিটর করবে এবং প্রয়োজনে লেনদেন পর্যালোচনা করবে। তালিকাভুক্ত বা নিষিদ্ধ ঘোষিত কোনো ব্যক্তি বা সত্তা অথবা প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে তাদের নিয়ন্ত্রণাধীন বা স্বার্থসংশ্লিষ্ট কোনো ব্যক্তি বা সত্তার কোনো পলিসি বা লেনদেন চিহ্নিত হওয়ার সাথে সাথে সংশ্লিষ্ট বীমা প্রতিষ্ঠান উক্ত পলিসি বা লেনদেনটি স্থগিতকরত পরবর্তী কর্মদিবসের মধ্যে এ বিষয়ক বিস্তারিত তথ্য বিএফআইইউকে অবহিত করবে। কোনো False Positive" পাওয়া গেলে তা সংরক্ষণ করবে।


আরু বিস্তারিত জানতে বইটি ডাউনলোড করুন

বীমা আইন ও বীমা নীতিমালা